শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

আমরা বিজয়ী জাতি, মাথানত করে চলবো না: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরনো ছবি

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ মার্চ, ২০২২ ১১:০৫ : অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা বিজয় অর্জন করেছি। মাথানত করে আমরা চলি না। মাথানত করে চলবো না।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটন ঢাকায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত ‘জয় বাংলা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দীপক স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় এ আয়োজন করে বিএবি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘জয় বাংলা’ স্লোগান আমাদের মুক্তির স্লোগান, আমাদের সংগ্রামের স্লোগান। জয় বাংলা স্লোগান মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। জয় বাংলা স্লোগানের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।’’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তার ভাষণে গেরিলা যুদ্ধ করার দিকনির্দেশনা যেমন ছিল, তেমনি স্বাধীনতার কথা বলে গেছেন। অপরদিকে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের কথা বলে গেছেন। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ‘জয় বাংলা’ বলে তিনি ভাষণ শেষ করেছিলেন। বাঙালির যে জয় হবে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন। তার এই দূরদর্শিতা ছিল আমাদের সকল অর্জনের মূল শক্তি এবং তিনি সেটাই করে গেছেন।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বারবার বাধা পেয়েছেন, বারবার কারাবরণ করেছেন, তাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। পাকিস্তানিরা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে ফাঁসির আদেশ পর্যন্ত দিয়েছিল।’

’৭৫ এর বিয়োগান্তক ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ছোটবোন শেখ রেহানার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দুজনেই আজকে সব থেকে বেশি খুশি। কারণ এই জয় বাংলা স্লোগান এদেশের মানুষকে নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিয়ে দেশকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। যে শ্লোগান দিয়ে এদেশের মানুষ রক্তের অক্ষরে লিখে গেছে-আমি বিজয় আনতে চাই। বাংলাদেশের জয় হবে। আজকে সেই জয় বাংলা আমাদের সকলের, এদেশের মানুষের, বিজয়ী জাতির বাঙালি জাতির, আমাদের মাথা উঁচু করে চলার এ স্লোগান।’

এই স্লোগান ধারণে সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন ত্যাগ যে বৃথা যায়না আজকে সেটাই প্রমাণ হয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী, তারা এটাকে ধরে রেখেছিল। একটা সময় নানা ধরনের সমালোচনা শুনতে হয়েছে। আমরা সত্যটা ধরে রাখতে পেরেছিলাম বলেই আজ এটি জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিএবি চেয়ারম্যার মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিদাতা শেখ মুজিব’ নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর