নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ মার্চ, ২০২২ ৩:৩১ : অপরাহ্ণ
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এতো ভয় কেন? ওবায়দুল কাদেরের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষকদলের উদ্যোগে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির’ প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব। আমাদের আওয়ামী লীগের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন, বিএনপি যদি ভোটে না যায়, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলতে থাকে তারা অতল জলে ডুবে যাবে। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই, নিরপেক্ষ সরকারে এতো ভয় কেন? এতো ভয় কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের? নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার দিয়ে দেখুন…।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ বলছে যে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে-আমি আর পারছি না। তাতে কিছু যায় আসে না, না ঠিক আছে! উন্নয়ন তো হচ্ছে! প্রধানমন্ত্রী বললেন কি? রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আরেকটা মিথ্যা কথা না? কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের আগে থেকেই তো দাম বাড়ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চালের দাম, তেলের দাম, পেঁয়াজের দাম বাড়তেই আছে। কারণ একটাই আপনারা সব লুট করছেন, চুরি করছেন, ডাকাতি করছেন। আর যারা দাম বাড়াচ্ছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোক।’
টিসিবির ট্রাকে লাইন প্রতিদিন বাড়ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে প্রত্যেকটি নিম্নবিত্ত, নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্য আয়ের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। একজন মহিলা, বোরকা পরা ছিলেন- মুখে মাস্ক ছিল, তিনি বলছেন- আমি কোন দিন এই লাইনে এসে দাঁড়াইনি। কিন্তু এখন আমাকে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তারপরও পাই না। ওখানে সবাই কিছু কিছু দালালদের দাঁড় করিয়ে রাখে, তারা কিনে নিয়ে যায়- কালোবাজারে বিক্রি করে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যদি এই সরকারকে সরাতে পারি এবং ভবিষ্যতে যদি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার আবার আসতে পারে তাহলে অবশ্যই আমরা কৃষির সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবো। কিন্তু এটা কি এমনি হবে? এই আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে কি হবে? তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হবে।’
কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।