নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৯ মার্চ, ২০২২ ১২:৩১ : অপরাহ্ণ
ইউক্রেনে আটকে পড়া ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক রোমানিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি।
রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে নাবিকদের ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুল-দুবাই হয়ে ঢাকা অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটায় (বাংলাদেশ সময়) টার্কিস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয় নাবিকরা।
রোববার বেলা ১১টার দিকে তারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মালদোভা হয়ে রোমানিয়া পৌঁছান।
এছাড়া জাহাজে হামলার ঘটনায় মারা যাওয়া থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের লাশ ইউক্রেনের একটি বাংকারের ফ্রিজারে রাখা হয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে লাশটি দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ভারতের মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে।
সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির।
তবে এর মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে ২৯ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি আটকে পড়ে।
গত ২ মার্চ জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান।
সাগরের ওই বন্দর এলাকায় রাশিয়া মাইন পুঁতে রাখায় জাহাজটি বের করা যাচ্ছিল না। যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাগুলির মধ্যে নাবিকদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটে চরম আতঙ্কে।
এই অবস্থায় উদ্ধার পেতে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিএসসি’র প্রতি আকুতি জানান আটকে পড়া নাবিকেরা।
পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেয়া হয়। জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরপরই পণ্যবোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং করপোরেশন।
শেষ মুহূর্তে পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অলভিয়া বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।