শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ মার্চ, ২০২২ ১১:০১ : অপরাহ্ণ

রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।

এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য জ্বালানি আমদানির ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলায় বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে দেশটি। এবার সেই নিষেধাজ্ঞায় তেল রপ্তানি খাতও যুক্ত হলো।

জো বাইডেন বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মানে হলো পুতিনের নেতৃত্বকে আমেরিকার জনগণ আরও একটি বড় ধাক্কা দেবে। আমরা পুতিনের যুদ্ধের ভর্তুকির অংশ হবো না।’

বাইডেন বলেন, মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউসে এক বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, এ পদক্ষেপের পর গ্যাসের দাম বাড়বে, তবে তেল সংস্থাগুলিকে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে জড়িত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, পুতিন কখনো ইউক্রেনে জিততে পারবেন না।

আরও পড়ুন: ৩ শর্ত মানলে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করবে রাশিয়া

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা সত্ত্বেও এ পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন পেয়েছে।

বাইডেন এমন ঘোষণা দিতে পারেন ধরে নিয়ে তেলের দাম বেড়েছে দেশটিতে।

ইতিমধ্যে বিকল্প বাজার খুঁজতে বাইডেন দ্বারস্থ হয়েছেন সৌদি আরব, ভেনেজুয়েলা ও ইরানের। তবে এসব দেশের কাছ থেকে তেল কেনার পরিকল্পনার জন্য বাইডনকে দ্বিমুখী সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

খোদ মার্কিন সিনেটররাই এর সমালোচনা শুরু করেছেন। কেউ বলছেন, ভেনেজুয়েলা বা ইরানের মতো দেশের কাছ থেকে তেল আমদানির পরিকল্পনা বা তাদের ওপর নির্ভর করা ঠিক হবে না।

এদিকে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) একটি রূপরেখার পরিকল্পনা করেছে।

সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলতি বছরেই রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি দুই তৃতীয়াংশ কমাবে। আর ২০৩০ সালের আগে আমাদানি বন্ধ করবে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ জানায়, চলতি বছর রাশিয়ান গ্যাস আমদানি দুই তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনবে। আর ২০৩০ সালের আগে তেল এবং গ্যাস আমদানির সামগ্রিক চাহিদা শেষ করবে।

ইইউ আরও জানায়, রাশিয়ার বাইরে অন্য সরবরাহকারীদের থেকে পাইপ লাইনে এবং উচ্চতর এলএনজি গ্যাস আমদানি করে গ্যাস সরবরাহে বৈচিত্র্য এনে রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

ইইউ তার চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। আর প্রতিবছর ইইউর আমদানি করা তেলের ২৭ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের ১৩ তম দিন চলছে। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সেনারা।

এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর