রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

তথ্যমন্ত্রী ও সিইসিকে একহাত নিলেন রিজভী


রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ মার্চ, ২০২২ ৩:০১ : অপরাহ্ণ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে একহাত নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রী মানুষের দারিদ্র্যকে নিয়ে আর সিইসি জনগণের ভোট নিয়ে উপহাস করছেন।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিরোধী দলকে মাঠ ধরে রাখতে হবে সিইসির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘ইয়াকুবের বেটা বেকুব এই সিইসি। বিরোধী দল মাঠ ধরে থাকবে কি? মাঠ তো সমান থাকবে, স্বচ্ছ থাকবে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার এবং তার নির্বাচন কমিশনের।’

আরও পড়ুন: জেলেনস্কির মতো মাঠে থাকার পরামর্শ দেয়ায় সিইসির প্রতি রাশিয়ার অসন্তোষ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সিইসিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই লুটেরা, ডাকাত সরকারের আমলে কি মাঠ সমান থাকবে? সেটা কি আপনি জানেন না?’

এখন কাব্যের মধ্যে আছে কুঁড়ে ঘরের কথা-তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এটা তো আপনি বলবেন, কারণ আপনি তো বিনাভোটের মন্ত্রী। আপনি তো গ্রামে যান না। আপনি তো হাটবাজারে যান না। আপনি তো রেললাইনের ধারে যান না। আপনি প্লেনে প্লেনে উড়ে বেড়ান, দামি গাড়িতে করে বাড়ি যান।’

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘কড়াইল বস্তিতে তারাবানু কীভাবে জীবন যাপন করছে সেটি আপনার চোখে পড়ে না? আপনি মানুষের দারিদ্র্য নিয়ে উপহাস করছেন।’

সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আপনি ফ্লাইওভার দেখান, আপনি উড়াল সেতু দেখান, আপনি মেট্রোরেল দেখান। অতীতেও স্বৈরশাসকরা দেখিয়েছেন। এটা মিশরও দেখিয়েছে। তারপর কী দেখলাম-নিরন্ন মানুষ, যাদের জন্য হাসপাতাল নাই, স্কুল নাই। এভাবে লুটপাটের রাজত্ব হয় স্বৈরশাসকদের আমলে। যেটার আমরা টোটাল প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি শেখ হাসিনার আমলে।’

এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘জুন মাসে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলেন। আমি ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) টেলিফোন করলাম-ম্যাডাম আমি কি স্টেটমেন্ট দেবো? তিনি বললেন দিতে পারো, অবশ্যই দাও। তার পরে আমি দিলাম। …অথচ আওয়ামী লীগের লোকেরাও তখন স্টেটমেন্ট দেয়নি শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য। আর শেখ হাসিনা তার প্রতিদান দিয়েছেন দেশের একজন অবিসংবাদিত নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে। আজও তিনি মুক্ত নন। এখন তিনি নানাভাবে খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করছেন। এটাই হচ্ছে পার্থক্য।’

বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, নির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দীন স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর