রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ মার্চ, ২০২২ ৮:০৫ : অপরাহ্ণ
ইউক্রেনে টানা ১২ দিনের মতো সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ সেনাদের অভিযানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটি।
ফলে উভয় দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। তাতে শামিল হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোও।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসে দেশ দুটির কর্মকর্তারা।
আগের দুই দফা বৈঠকে কোনো ফলাফল মেলেনি।
তবে এদিনের বৈঠকে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ বন্ধে তিনটি শর্ত দিয়েছে রাশিয়া।
সর্বশেষ বৈঠকে অভিযান বন্ধে রাশিয়ার দেয়া শর্ত তিনটি হলো-
১. ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না ইউক্রেন
২. ইউক্রেনকে দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩. রাশিয়ার অঞ্চল হিসেবে গণ্য হবে ক্রিমিয়া
ইউক্রেন রাশিয়ার এই তিনটি শর্ত পূরণ করলে যেকোনো মুহূর্তে চলমান সামরিক অভিযান বন্ধ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে মস্কো।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের মার্চে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এছাড়াও এর কয়েক সপ্তাহ পর ইউক্রেনের পূর্ব দোনেস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেয় মস্কো।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে শুনানি চলছে।
জাতিসংঘের দাবি, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটি থেকে প্রাণভয়ে পালিয়েছেন ১৫ লাখের বেশি মানুষ।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে গত বছরের শেষের দিক থেকে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।
এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ১২তম দিনে গড়িয়েছে।
দিনে দিনে ইউক্রেনের অবস্থা খারাপ হতে থাকায় বিশ্বনেতারা ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করার জন্য রাশিয়াকে হুমকি-ধামকি ও নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
কিন্তু এতে একটুও পিছপা হয়নি রাশিয়া। উল্টো হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তারা।
রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। আলোচনা বা যুদ্ধ যে কোনো এক উপায়ে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করবে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি ও রয়টার্স।
আরও পড়ুন: তৃতীয় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, ইউক্রেন বললো, ও সব ‘নাটক’