রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৬ মার্চ, ২০২২ ১১:১৫ : পূর্বাহ্ণ
ইউক্রেনের মারিউপোল শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হয়েছিল।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা আবার শহরটির ওপর একের পর এক বোমা হামলা শুরু করে।
রুশ বাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কড়া সমালোচনা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। খবর বিবিসি।
স্থানীয় সময় সোমবার সকাল নয়টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মারিউপোল শহরের মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো সংবাদ সংস্থা এপি’কে অভিযোগ করছেন, শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে রুশ সেনারা অবিরাম গোলাবর্ষণ করছে। একইসঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান থেকেও আবাসিক এলাকায় বোমা ফেলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় নারী ও শিশুসহ বাসিন্দারা রুশ সেনাদের হামলার কবলে পড়ে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ২ শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ব্যাপক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের এই শহরটি সবদিক থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এছাড়া অবরোধের সময় বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি খাবার সরবরাহও বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
মারিউপোল শহরে কয়েক দিন ধরেই তীব্র লড়াই চলছে। সেখানকার বাড়িতে পানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ নেই, খাদ্য ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। মারিউপোল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন এমন একজন জানিয়েছে, শহরটির অবস্থা এখন নরকের মতো।
চার লাখেরও বেশি অধিবাসী সম্বলিত মারিউপল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত।
এর আগে রাশিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের দুই শহরের জন্য মানবিক করিডর তৈরির ঘোষণা দেয় রাশিয়া। শনিবার সকাল ১০টায় ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভোলনোভাখা শহরের জন্য এই মানবিক করিডর চালু করা হয়।
আরও পড়ুন:
মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেন জয়ী হবে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনটি গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন জেলেনস্কি