নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৫ মার্চ, ২০২২ ৬:২০ : অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং এমনকি ফিল্ডিংটাও ভালো করতে ব্যর্থ হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। তাদের ক্যাচ মিসের মহড়ায় ৮ উইকেটে জিতলো আফগানরা।
আজ শনিবার ঢাকা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটিং বিপর্যয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে আফগানিস্তান।
এতে ১-১ সমতায় শেষ হয় দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
১১৬ রানের জবাবে শুরু থেকে সাবধানে খেলতে থাকে আফগানিস্তান।
তবে উইকেট শিকারের সুযোগ পেয়েও তা লুফে নিতে ব্যর্থ হয়। হজরতুউল্লাহর ক্যাচ উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন নাসুম আহমেদ।
এরপর দ্বিতীয় ওভারে মেহেদী হাসানের বলে আউট হন রহমানুউল্লাহ। তিনি ৫ বলে ৩ রান করে আউট হন।
শুরুতে উইকেট হারালেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান।
হজরতউল্লাহ ও ওসমান অর্ধশত রানের জুটি গড়েন। সাকিব, শরিফুল ও নাসুমরা আঁটসাঁট বোলিং করেও উইকেট শিকার করতে ব্যর্থ হন।
তবে দলীয় ১০৩ রানে আউট হন ওসমান। তিনি মাহমুদউল্লাহর বলে উইকেটের পিছনে লিটনের ধরা পড়েন।
এর আগে দুটি ক্যাচ মিস করেছে টাইগাররা।
ফলে মাহমুদউল্লাহ বাহীনি ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়েছে সিরিজ ভাগাভাগি করে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের।
বল হাতে আজমতউল্লাহ-রশিদরা চেপে ধরেন সাকিব-মুশফিকদের।
ইনিংসের শুরু থেকেই উচ্চবিলাসী শট খেলার প্রবণতায় নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ওপেন করেছেন দুই তরুণ মুনিম শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু জুটি বড় হয়নি।
দলীয় ৭ রানে মোহাম্মদ নবীর বলে শরফুদ্দিন আশরাফকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুনিম শাহরিয়ার।
আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা লিটন দাসকে দলীয় ২২ রানে ফেরান আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। এক ছক্কায় ১০ বলে ১৩ করে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
টানা ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা নাঈম এই ম্যাচেও ছিলেন নড়বড়ে। ব্যাটিং নেমেই এলবির ফাঁদে পড়েছিলেন।
প্রথম যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু জীবন পাওয়ার পরও নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি।
নবম ওভারেই কাটা পড়েন রানআউটে। ১৯ বলে ১৩ রান করে সাজঘরের পথে হাঁটেন এই তরুণ ব্যাটার।
উইকেট হারানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের রানের চাকাও ছিল মন্থর।
৩৮ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে তোলে মাত্র ৩৩ রান।
এই চাপের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে রানের খরায় থাকা সাকিব ফেরেন মাত্র ৯ রানে।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইর বল উড়িয়ে মারার চেষ্টায় কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন সাকিব।
সাকিবের বিদায়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে গড়েন ৩১ বলে ৪৩ রানের জুটি।
তবে এই জুটি জমে ওঠার আগেই ভেঙে দেন রশিদ খান। মেরে খেলা মাহমুদউল্লাহকে এলবির ফাঁদে ফেলেন আফগান স্পিনার।
রশিদের শিকার হয়ে ১৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অধিনায়কের বিদায়ের ১১ রান পরই ফিরে যান শততম ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহিম। তিনি ২৫ বল থেকে করেন ৩০ রান।
মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান মেহেদী হাসান, আফিফ ও শরিফুল।
আফগানদের দাপুটে বোলিংয়ে বাংলাদেশ আটকে যায় মাত্র ১১৫ রানে।
আফগানিস্তানের হয়ে ফজলহক ফারুকি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই ৩টি করে এবং মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান একটি করে উইকেট লাভ করেন।