শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

সিআরবিতে জোড়া খুন: বাবরসহ ১৫ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি পিবিআই


সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৩৪ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ জোড়া খুনের মামলায় ৬৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়েছে।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিন এ আদেশ দেন।

আগামী ২৫ মে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলেও অভিযোগপত্রে সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি বলে উল্লেখ করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর।

আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগপত্রে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মককর্তা উল্লেখ করেন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

তবে পূর্বে নগর গোয়েন্দা পুলিশের চার্জশিটে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিধায় তাদেরকে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর এ মামলার নগর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা বাবরসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ওই অভিযোগপত্ত্রে ত্রুটি থাকায় আদালত পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, পিবিআইয়ের টার্জশিটে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ার বিষয়ে বিচারক বলেছেন, ১৫ জন দোষী নাকি নির্দোষ সেটা বিচারে প্রমাণ হবে।

অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, অভিযোগপত্রে পিবিআই হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এ মামলার আগের চার্জশিটে তাদের নাম ছিল বিধায় নতুন চার্জশিটে তাদেরকে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ১৫ আসামি দোষী নাকি নির্দোষ সেটা বিচারের মাধ্যমে প্রমাণ হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, চার্জ গঠনের শুনানির সময় অভিযোগপত্রভুক্ত হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ৫৪ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ জন সময়ের আবেদন করে শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন-ইলিয়াছ, হাসমত আলী রাসেল, গাজী জাফর, রাজু মুন্সি ও রানা।

আদালত আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে চারজন পলাতক আছেন। এরা হলেন-অসিত চক্রবর্তী, সুমন চৌধুরী, টিটু দাশ ও নুরুচ্ছফা টিপু।

জানা গেছে, অভিযোগপত্রে মোট ৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অমিত মুহুরী নামে একজন আসামি কারাগারের ভেতরে খুন হন। তাকে বাদ দিয়ে বাকি ৬৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) এবং শিশু মো. আরমান (৮)।

আরমানের মা বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। তারা সিআরবির একটি কলোনিতে থাকেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করে।

অপরদিকে পরে নিহত সাজু পালিতের মা মিনতি পালিত বাদী হয়ে অজিত বিশ্বাসকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালত দুই মামলা একসঙ্গে তদন্তের আদেশ দেন।

পিবিআই তদন্ত করে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর