রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:১৭ : পূর্বাহ্ণ
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেন।
এরপরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো ও সীমান্তরক্ষীবাহিনীর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে সেখানে কর্মরত বিসিসি ও সিএনএনের সংবাদকর্মীরা।
বিবিসির সংবাদদাতা পল অ্যাডামস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থান করছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভে, দক্ষিণাঞ্চলীয় ওদেসায় এবং পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক অঞ্চলের অবলাস্ট এলাকায়ও বিস্ফোরণ হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যে উঠে আসছে।
ইউক্রেনের দুটি উপকূলীয় শহর ওডেসা ও মারিয়োপল-এ রুশ সেনারা অবতরণ করেছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারা।
তবে তাদের কথাকে অগ্রাহ্য করেই কিয়েভের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো শুরু করেছে রাশিয়ার সেনারা।
এদিকে সেনা অভিযানের ঘোষণা দিয়ে পুতিন দনবাসে নিয়োজিত ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন।
পুতিন বলেন, ‘আপনারা আপনাদের অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং ঘরে ফিরে যান।’
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডনবাসে রক্তপাত হলে এর দায়ভার পুরোপুরি ইউক্রেন সরকারের।’
তবে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন দখল করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা নিজেদেরকে কারও ওপর চাপিয়ে দিতে চাই না।’
‘ন্যায়বিচার ও সত্য’ রাশিয়ার পক্ষে রয়েছে দাবি করে তিনি সতর্ক করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ পদক্ষেপ নিলে মস্কো ‘তাৎক্ষণিক’ জবাব দেবে।
এই অভিযানকে একটি পূর্ণ সামরিক আগ্রাসন হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনে সামারিক আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। তবে এই যুদ্ধে ইউক্রেন অবশ্যই জয়লাভ করবে। বিশ্ববাসী চাইলে এই যুদ্ধ থামানো সম্ভব। কোন পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সঠিক সময়।’
ইউক্রেনে সামরিক আইন জারির পরিকল্পনা
ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করার জন্য তার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সামরিক আইন জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কাউন্সিল শিগগিরই জরুরি বৈঠকে বসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণ রাশিয়াতেও
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে ওই প্রদেশের দূরত্ব বেশি নয়।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন ও ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন