শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি


রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:৩১ : পূর্বাহ্ণ

বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

১৯৫২ সালে সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেন সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বারসহ অনেকে।

আজ সেই বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছে পুরো জাতি।

মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে।

গর্ব আর শোকের এই দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেছে জাতি।

করোনাভাইরাস মহামারীতে গত দুই বছর ধরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সব আয়োজন সীমিত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে সরকার।

করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেননি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তাদের পক্ষে রোববার রাত ঠিক ১২টা ১ মিনিটে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’ বাজানো হয়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে ফুল দেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এম এম নাঈম রহমান।

এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি মন্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে আট জ্যেষ্ঠ নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শহীদ মিনারে ফুল দেন।

এরপর পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুুজিবুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্যানেল মেয়র। একে একে আরো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মো. আমিন উদ্দিন, ১৪ দল নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, পুলিশের পক্ষ থেকে আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, ফায়ার সার্ভিস, এফবিসিসিআই, গণসংহতি আন্দোলন, বাসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, জগন্নাথ হল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, ন্যাপ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ সমাজবাদী দল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ছাড়াও একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনারের বেদি। এরপর জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর