নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:২৯ : পূর্বাহ্ণ
জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে একুশে পদক।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশিষ্ট নাগরিকদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পদক তুলে দেয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গুণীজনদের হাতে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে দুজন, মুক্তিযুদ্ধে চারজন, শিল্পকলায় সাতজন, গবেষণায় চারজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, সমাজসেবায় দুজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন একুশে পদক পেলেন।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এ বছর মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন মোস্তফা এম এ মতিন ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল।
মুক্তিযুদ্ধে অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।
শিল্পকলায় নৃত্যে জিনাত বরকতউল্লাহ, সংগীতে নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ শিল্পকলা ও মাহমুদুর রহমান বেনু একুশে পদক পান। অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ এ পদক পেয়েছেন।
সাংবাদিকতায় এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এবারের একুশে পদক পান।
সমাজসেবায় এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের এ পদক পেয়েছেন।
ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ এবারের একুশে পদক পান।
দলগতভাবে গবেষণায় এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন ড. মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ড. মো. এনামুল হক, ড. সাহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ওই সময় একুশে পদকজয়ীদের পরিচিত ও তাদের অবদানের কথা পাঠ করে শোনান তিনি।