নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ৫:০৬ : অপরাহ্ণ
সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
আপিলে বিচারিক আদালতের রায়কে তাড়াহুড়ার রায় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আপিলে উভয় আসামির খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত গণমাধ্যমকে বলেন, আবেদনে আমরা বলেছি, বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে যে রায় ও আদেশ দিয়েছেন, তা সুষ্ঠু বিচার বিশ্লেষণ করে হয়নি। রায়টি তাড়াহুড়া করে দিয়েছে। আমাদের আপিলটি শুনানি করে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল ও রদ করার আর্জি জানিয়েছি।
উচ্চ আদালতে রানা দাশগুপ্ত ছাড়াও প্রদীপের পক্ষে লড়বেন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার সিফাত মাহমুদ, আসামি লিয়াকত আলীর পক্ষে থাকবেন এস এম শাহাজাহান।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফেরেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।
গত ৩১ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
রায়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার এ হত্যা মামলার ২৮৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের শেষ পৃষ্ঠায় পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি মো. লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশ আগাগোড়া নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই, তাঁরা সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার হকদার।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।