রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ৮:৪৬ : অপরাহ্ণ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘গীতশ্রী’ খ্যাত কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৯০ বছর বয়সে কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।
গত ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন উপমহাদেশের কিংবদন্তি এই কণ্ঠশিল্পী।
ওই দিনই তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল তার।
ঘটনাচক্রে তার দু’দিন আগেই ভারত সরকারের পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকরকে হারানোর শোক না কাটতেই আরও এক নক্ষত্রের পতনে ভারতীয় সংগীতাঙ্গন তথা শোবিজে নেমে চলছে শোকের মাতম।
বাংলা গানের স্বর্ণযুগের অন্যতম কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
তার কন্ঠের জাদুতে মজেছে কয়েক প্রজন্ম। ৫০ বছরেরও বেশি সময় নানা ভাষার ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন তিনি।
ছবির গানের পাশাপাশি বাংলা আধুনিক গান ও ধ্রুপদী সঙ্গীতেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী।
উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর শিষ্যা ছিলেন তিনি।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর কলকাতার ঢাকুরিয়ায় রেল কর্মকর্তা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও হেমপ্রভা দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
ছয় ভাইবোনে মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালে ‘জয়জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ পান এই সংগীতশিল্পী।
১২ বছর বয়স থেকে তিনি গান গেয়েছেন। সংগীতের পেছনে জীবনের ৭৫টি বছর ব্যয় করেছেন।
গানে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার জুটি বহু বছর ধরে বাঙালির মনজুড়ে আছে।
একসময় সুচিত্রা সেনের কণ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার’, ‘মধুমালতি’, ‘হয়তো কিছুই নাহি পাব’, ‘তুমি না হয়’, ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’, ‘যমুনা কিনারে’সহ অনেক কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।