নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২:০৮ : অপরাহ্ণ
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে ঘোষিত সার্চ কমিটির সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
গতকাল সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইন অনুযায়ী তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে সভায় আলােচনা হয়। সভা মনে করে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে, সার্চ কমিটি এবং তাদের দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন কোনোক্রমেই গ্রহণযােগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে না। বিধায়, গঠিত অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না বিএনপি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সার্চ কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশনের মতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। এটা জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ধরনের তামাশা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।’
আরও পড়ুন: জনমত যাচাইয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সাহস বিএনপির নেই: কাদের
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, কেবল নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরেই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংকট উত্তরণ সম্ভব।’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান সরকার তাদের সকল অবৈধ ও বেআইনি কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসীর কাছে আড়াল করতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। ‘মার্কিন কংগ্রেসম্যান গ্রেগোরি মিকসের বক্তব্যকে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকৃতভাবে উপস্থাপন দেশের কূটনৈতিক ক্যাডার সার্ভিসকে দলীয়করণের সর্বশেষ নিকৃষ্ট উদাহরণ।’
এলপি গ্যাস ও সয়াবিন তেলসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মনে করে সরকারের দুর্নীতি ও সরকারি দলের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার জন্য জ্বালানি তেল ও নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদি মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে যা জনগণের জন্য দুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে কানাডার দুটি মানবাধিকার সংগঠন কর্তৃক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ এবং ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার সনদপ্রাপ্তির কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
রাস্তা পার হওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের চাপায় একসঙ্গে ৪ ভাইয়ের মৃত্যু
বাঁশখালীতে বসতঘরে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় ভাই-বোনের মৃত্যু
সুন্দরবনে বাঘের সঙ্গে ২০ মিনিট লড়াই, বেঁচে ফিরলেন হায়াত আলী