শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

ফাঁসি এড়াতে বাবুর্চি-দারোয়ানের ছদ্মবেশ, ২০ বছর পর র‌্যাবের জালে ধরা


চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ৩:১৪ : অপরাহ্ণ

ফাঁসি এড়াতে তিনি কখনো বাবুর্চি, কখনো দারোয়ানের ছদ্মবেশ কাটিয়েছেন।

বানিয়েছিলেন দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও।

২০ বছর পর তার এই কৌশল ধরা পড়ে গেলো র‌্যাবের কাছে।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে ২০ বছর ধরে পালিয়ে থাকা সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

তার বয়স এখন ৬০ বছর।

গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, জমির বিরোধে ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে ২০০২ সালের মার্চের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলায় মাহমুদুল হক এবং তার বড় ভাই ব্যবসায়ী জানে আলমকে খুন করা হয়। দুই মামলার এজাহারেই আসামির তালিকায় সৈয়দ আহমেদের নাম ছিল।

এর মধ্যে জানে আলম হত্যা মামলায় ২০০৭ সালে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

পরে হাইকোর্টে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, জানে আলমকে হত্যার পর সৈয়দ আহমেদ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে কিছুদিন উপকূলীয় এলাকায় এবং পরে সীতাকুণ্ডে অবস্থান করেন। পরিচয় গোপন রাখতে দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করিয়ে নেন তিনি।

এক সময় সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে ছিন্নমূল নেতা মশিউরের ছত্রচ্ছায়ায় বসবাস শুরু করেন সৈয়দ আহমেদ। সেখান থেকে বিভিন্ন মাজারে বাবুর্চির কাজ করতেন। পরে আকবরশাহ এলাকায় একটি ভবনে দারোয়ানের কাজ নেন।

আকবর শাহ এলাকায় সৈয়দ আহমেদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইউসুফ বলেন, ‘মাহমুদুল হককে খুনের পর বাঁশখালী উপজেলায় আত্মগোপন করেছিলেন সৈয়দ আহমেদ। সেখান থেকে জলদস্যুদের সঙ্গে সমুদ্রে চলে যান। চার মাস পর লোহাগাড়ায় ফিরে এসে মাহমুদুলের বড় ভাই জানে আলমকে হত্যায় অংশ নেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন ব্যবসায়ী জানে আলম। তিনিই মামলা পরিচালনা করছিলেন। তাই আসামিদের ধারণা ছিল, জানে আলমকে খুন করতে পারলে মামলা আর এগোবে না এবং তার সম্পত্তিও ভোগ করতে পারবে। সে কারণে তাকেও তারা হত্যা করে।’

গ্রেপ্তার সৈয়দ আহমেদকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর