নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ৬:০১ : অপরাহ্ণ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসার ব্যয় বছরে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। এসব চিকিৎসার ব্যয় কমিশন থেকে করা হয়।’
ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসি মাহবুব তালুকদার সিইসির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সিইসি নুরুল হুদা নিজেও নির্বাচন কমিশন থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন।’
আজ শুক্রবার ‘চিকিৎসার অর্থ ব্যয় সম্পর্কে আমার বক্তব্য’ শিরোনামে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের কারণে সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন।’’
‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার’ উল্লেখ করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী আমার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। তবে গত দুই বছরে আমি চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে বিদেশে যাইনি। বরং এই দুই বছর চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ নিজের খরচে আমি আমেরিকা গিয়েছি।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে আমার চিকিৎসার ব্যয় বছরে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি খরচের প্রকৃত হিসেব প্রদান করেননি।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তিনি (সিইসি) আমাকে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করে বলেছেন, আমি কখনও আইসিইউতে বা কখনও সিসিইউতে থাকি। কিন্তু ইচ্ছা করলেই কেউ আইসিইউ বা সিসিইউতে থাকতে পারে না।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের চার জন চিকিৎসক মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দুই দফা শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপর তারা বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমোদন দেন। প্রকৃতপক্ষে আমি নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সময় থেকেই প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। সেই ক্যানসার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। আমি সিঙ্গাপুর ও ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করিয়েছি।’