নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:১৯ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য এবং মিথ্যা অপবাদ আর অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। বিদেশি ফার্মকে কোটি কোটি ডলার তারা পেমেন্ট করলো। কোটি কোটি বিদেশি ডলার বিএনপি কোথা থেকে পেলো? এই অর্থ কীভাবে বিদেশে গেলো? তার জবাব দিতে হবে। এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব এবং অধিবেশনের সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।
সরকারের লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, সবসময় পিআর ফার্ম নেওয়া হয়। যাতে বিনিয়োগ বাড়ে, উৎপাদন বাড়ে। আমরা যেন বেশি রপ্তানি করতে পারি। দেশের অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য করা হয়। কিন্তু বিএনপির কাজটা কী ছিল?’
লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ এবং এর পেছনে ব্যয় সংক্রান্ত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কত লাখ ডলার বিএনপি খরচ করেছে, এটা আমার প্রশ্ন। এই অর্থ কোথা থেকে তারা পেলো? এটা তো বৈদেশিক মুদ্রা। বিএনপি এই বৈদেশিক মুদ্রা কোথা থেকে পেয়েছে। কীভাবে খরচ করেছে; কীভাবে এই লবিস্ট তারা এভাবে রেখেছে?’
র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের র্যাবের কিছু অফিসারের বিরুদ্ধে আমেরিকা স্যাঙ্কশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে। যদি বলি কাদের ওপর? এখন আমাদের বর্তমান আইজিপি, তখন র্যাবের ডিজি ছিলেন। হলি আর্টিজানে যখন সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে; মানুষ হত্যা করে; নৃশংস দৃশ্য। পুলিশের দুজন অফিসার সেখানে ছুটে গেলে তাদের গুলি করে মেরে ফেলে। এরপর আমরা পদক্ষেপ নিই। সেই সময় আমেরিকার যিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি টুইট করেছিলেন- ‘হলি আর্টিজানের সন্ত্রাসী হামলা বাংলাদেশ একা সমাধান করতে পারবে না।’ রোজার দিন ছিল। সারারাত আমরা কাজ করেছি। সেহেরির সময় পর্যন্ত আমি বৈঠক করি। সবাইকে নিয়ে মিটিং করি। কী করা হবে, কীভাবে অপারেশন চালানো হবে? পরদিন সকাল নয়টার মধ্যে জিম্মিদের উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সফলতার সঙ্গে তাদের আক্রমণ মোকাবিলা করি। এরপরই আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর টুইট সরিয়ে ফেলেন। আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করেছি। যেটা বিএনপির সৃষ্টি। যাদের তারা (যুক্তরাষ্ট্র) স্যাঙ্কশন দিল তাদের অধিকাংশ এই সন্ত্রাস দমনে ভূমিকা রেখেছিল। তাহলে এরা কেন আমেরিকার কাছে এত খারাপ হলো? সব চেয়ে ভালো ভালো অফিসার যারা। আমি আমেরিকাকে দোষ দিই না। ঘরের ইঁদুর বাঁধ কাটলে কাকে দোষ দেবো?’
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের তখনকার সংসদ সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেবকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যার সঙ্গে বিএনপি জড়িত, সেটাও বেরিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, এর বিচারের কাজটিতে বারবার বাধা দিচ্ছে তার পরিবার। যখনই বিচারের কাজটি শুরু হয়, অমনি তার পরিবার একটা বাধা দিয়ে রাখে। কেন ঠিক জানি না।’