প্রতিনিধি, সিলেট প্রকাশের সময় :২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ৮:৩১ : অপরাহ্ণ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পাঁচ জন শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
উপাচার্য (ভিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি পুলিশ।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন ভুইয়ার আদালতে শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) খোকন চন্দ্র সরকার ও আইনজীবী কানন আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইলের সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
এদের মধ্যে নাজমুল সাকিব করোনা আক্রান্ত হয়ে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার রাত থেকে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে সাবেক ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আন্দোলনে অর্থ সহায়তা করায় সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
অনশনের সাত দিনের মাথায় অনশন ভাঙাতে গিয়ে তিনি আজ নিজেই আন্দোলনকারীদের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর একটা স্মারকগ্রন্থের জন্য আমার কাছে একটা লেখা চাওয়া হয়েছিল। সেই লেখাটার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে ১০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। আমি এই সম্মানীর টাকাটা নিয়ে এসেছি। এই আন্দোলনের ফান্ডে টাকাটা দিচ্ছি। তোমরা রাখো। এবার পারলে আমাকে অ্যারেস্ট করুক।