শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সহসাই প্রত্যাহার হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ৩:১৫ : অপরাহ্ণ

র‌্যাবের বিরুদ্ধে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সহসাই প্রত্যাহার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র‌্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রক্রিয়াটা তড়িঘড়ি সম্পন্ন হবে না। একটু সময় লাগবে। এজন্য ধৈর্য ধরতে হবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের আয়োজন করেছি আমরা। ইনশাল্লাহ, তথ্যগুলো সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারলে র‌্যাবের মতো মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে তারা।’

আবদুল মোমেন বলেন, ‘র‌্যাব ও এর কয়েকজন সাবেক এবং বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই এটি দেওয়া হয়েছে। অপপ্রচারের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে র‌্যাবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিপক্ষের লবিস্ট প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের বড় বড় মানবাধিকার সংস্থায় প্রতিনিয়ত ফিডব্যাক দিয়েছে। তারা বলেছে, র‌্যাব খুব খারাপ প্রতিষ্ঠান।’

নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখন বাংলাদেশকে অবহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘স্যাঙ্কশন দেওয়ার পর মার্কিন সরকার আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। জানার পরই তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি আমি। আমাদের আলোচনা ইতিবাচক ছিল। আমার বিশ্বাস র‌্যাবের মতো একটি অত্যন্ত ভালো প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিশ্চয়ই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে মার্কিন সরকার।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পার্টনারশিপ ডায়ালগের কাজ শুরু হবে। এপ্রিল মাসে সিকিউরিটি ডায়ালগ হবে। তাছাড়া রয়েছে ইকোনমিক পার্টনারশিপ। আমরা বিশ্বাস করি, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে।’

আবদুল মোমেন বলেন, ‘২০১৪ সালে জামায়াত একটি ফার্ম নিয়োগ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য। এ জন্য তারা দেড় লাখ ডলার দেয়। বিচার বন্ধে তারা আরেকটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে প্রভাবিত করার জন্য পিস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৩২ হাজার ডলার দিয়ে নিয়োগ করে।’

বিএনপি বিদেশি লবির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ লাখ ডলার প্রতি বছর, আর প্রতি মাসে রিটেইনার ফি এক লাখ ২০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। এই তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর