নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৩৭ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলামসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও মালামাল লুটের অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন পারভেজ আহম্মদ নামে এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।।
বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আগামী রোববার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
পারভেজ আহম্মদ গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পল্লবী থানার ওসি ছাড়া এজাহারে অন্য যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন-এসআই কাউসার মাহমুদ, জহির উদ্দিন আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, মো. সজিব খান, মামুন কাজী, মিল্টন দত্ত, মহিদুল ইসলাম, পার্থ মল্লিক, পিন্টু কুমার, মো. শাহরিয়ার নাঈম রোমান, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মো. আনোয়ার ইসলাম, ফেরদৌস রহমান ও সোর্স খোকন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় পরিবারসহ বিয়ের দাওয়াতে যান পারভেজ আহম্মদ।
রাত সাড়ে ১০ টার পর আসামিরা তার পল্লবীর বাসা ও দোকানের চারিদিকে জড়ো হতে থাকেন।
রাত সোয়া ১২ টার দিকে তিনি জানতে পারেন, ওসি পারভেজ ইসলামের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তার ঘরের তালা ভেঙে অভিযান পরিচালনা করছে।
এরপর রাত ১টায় বাসায় ফিরে পারভেজ আহম্মেদ দেখতে পান, তার বাসার সব ঘর এলোমেলো, ঘরের বিভিন্ন গোপন স্থানে থাকা মূল্যবান শাড়ি, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
এসময় আসামিরা বাসার সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে তার ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পারভেজ আহম্মদ বাসায় না থাকায় তার ভাই দুলালকে আসামিরা মিথ্যা অভিযোগে ধরে নিয়ে যায়।
তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পল্লবী থানায় মামলা দেয়। পারভেজ আহম্মদ, তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করে।
মামলাটির অভিযোগে ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তিন মাস আগের একটি ঘটনা নিয়ে মামলার আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু যত দূর জানি মামলাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের বিরুদ্ধে ১২ মানবাধিকার সংস্থার চিঠি, অবিচার বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী