রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ৫:৩১ : অপরাহ্ণ
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু (৪১) হত্যাকাণ্ড এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। অবশেষে এই হত্যার জট খুলেছে।
পারিবারিক কলহ ও দাম্পত্যের জেরে অভিনেত্রীর স্বামী নোবেলই হত্যা করেছেন।
আর সেই লাশ গুম করতে সাহায্য করেছেন নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার।
এদিন জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মারুফ হোসেন সরদার বলেন, শিমুকে হত্যার পর খুনিরা যদিও খুবই পরিকল্পিতভাবে লাশটি কেরানীগঞ্জে হযরতপুরে ফেলে যায়। কিন্তু তারা কিছু চিহ্ন রেখে যায়। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করি। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু এসএম ওয়াই আব্দুল্লাহকে রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসি। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর শিমুর স্বামী ও তার বন্ধুর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে নোবেলের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে শিমুকে হত্যা করা হয়।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নোবেলের গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার একটি বাসায় থাকতেন ৪১ বছর বয়সী শিমু।
তিনি নিখোঁজ জানিয়ে সোমবার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বামী নোবেল।
এদিকে সোমবার সকালে কদমতলী এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।