নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ৩:০১ : অপরাহ্ণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যে সমস্ত ত্রুটি আছে বাংলাদেশের তা নিরসনে কাজ করছে সরকার। সেই সাথে র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে লবিস্ট নিয়োগসহ আইনের মধ্যে থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে বাংলাদেশ।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার মত দেশের গণতান্ত্রিক সমস্যা রয়েছে, তেমনি আমাদেরও রয়েছে। সেগুলো নিরসনে কাজ চলছে। আমেরিকায় লবিস্ট নিয়োগের পরেও কীভাবে এলো এমন নিষেধাজ্ঞা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আমেরিকায় লবিস্ট নিয়োগ একটা প্রথা। সব দেশ ও দলেরই লবিস্ট নিয়োগ আছে সেখানে। বিএনপিও তাদের মত করে নিয়োগ করেছে কিন্তু এতে সরকারের বিশেষ কিছু করার নেই।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যদিও র্যাবের ওপর একটা স্যাংকশন (নিষেধাজ্ঞা) এসেছে… কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট (মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর) বলছে যে, র্যাব গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমিয়েছে। তারা স্বীকার করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের কোথাও যদি কোনো গ্যাপস (ঘাটতি) থাকে, দুর্বলতা থাকে, (তাহলে) অবশ্যই আমরা সেদিকে নজর দেব, ব্যবস্থা নেবো।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে লবিস্ট নিয়োগ করবে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘…আমাদের দেশে আমরা তদবির বলি। আর, ওই দেশে বলে ইন্সটিটিউশন…ওরা তদবির করে। যেখানে তদবির দরকার, সেখানে তদবির আমরা চালাব। দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে। তাই আমরা দেখব যে, আইনি ব্যবস্থার মধ্যে থেকে কীভাবে কী করা যায়।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
আরও পড়ুন: র্যাবের বর্তমান ও সাবেক ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা