প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ প্রকাশের সময় :১১ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:২১ : অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
তার অভিযোগ, ‘‘আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক নারায়ণগঞ্জে এসে হুংকার দিয়ে বলেছেন, ‘তৈমুর ঘুঘু দেখেছে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি।’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমাকে রেজাল্ট দেখাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।’
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ নগরীর মিশনপাড়া এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া তৈমূর আলম বলেন, ‘সোমবার রাতে বন্দর থেকে আমার ১৭ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কমপক্ষে ৪০ জনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় আমার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তৈমূর আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সরকারি দলের বড় বড় নেতাদের নারায়ণগঞ্জে এনে নানা উস্কানিমূলক ও হুমকিমূলক বক্তৃতা দেওয়ানো হচ্ছে। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন যে, ‘তৈমুরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।’ এসব করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে।’’
সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলমের মেয়ে রেশমী অভিযোগ করে বলেন, ‘তৈমূর আলমের হাতি প্রতীকে কাজ করায় সোমবার গভীর রাতে ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমার স্বামী আশরাফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আমাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তখন আমি বুঝিনি। এখন বুঝতে পারছি।’
তৈমূর আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মীদের আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে আমি পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেবো। সেখান থেকেই আমি নির্বাচন পরিচালনা করবো। দেশবাসী আমার সঙ্গে থাকবে।’
এ সময় তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরও পড়ুন: নৌকায় ভোট চাইলেও আইভীর নাম মুখে নিলেন না শামীম ওসমান