শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা রাজধানী

গণপরিবহনের ভাড়া না বাড়ানোর দাবি


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ জানুয়ারি, ২০২২ ৪:২৪ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নতুন বিধিনিষেধে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ নির্দেশনা জারির প্রেক্ষিতে বাসভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়াতে চান পরিবহন মালিকেরা।

কিন্তু যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবি, কোনোভাবেই যেন পরিবহন মালিকেরা নতুন করে ভাড়া না বাড়ায়।

আজ মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

একই সঙ্গে ভাড়া বাড়ানোর যেকোনো ধরনের পাঁয়তারা বন্ধের দাবিও জানানো হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু খোলা রেখে কেবল গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীবহনের সিদ্ধান্তটি কাগুজে বিষয়ে পরিণত হবে। এই অজুহাতে আবারও ভাড়া বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষের জীবন বিষিয়ে উঠবে। অতীতের মতো বর্ধিত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হবে।

আরও পড়ুন: বিধিনিষেধের মধ্যেও চলবে বাণিজ্য মেলা

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‌করোনা সংকটে পৃথিবীর দেশে দেশে গণপরিবহনে যাত্রী কমেছে। অর্ধেক আসনে যাত্রীবহন করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ২০২১ সালে দেশের গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীবহনের নির্দেশনায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হলেও রাজধানীর বাসে কোথাও কোথাও ১০০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নজির আমাদের সামনে আছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, এমন সংকটে বাসে ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে লেগুনা, টেম্পু, অটোরিকশা, রিকশায়ও ভাড়া বহুগুণ বাড়তি আদায় করা হয়েছিল। যা আয় কমে যাওয়া মানুষের সংকটকে আরও বেশি ঘনীভূত করেছিল। তা ছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহনের সংকট রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীদের বাদুড়ঝোলা হয়ে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়। জীবন-জীবিকা সবকিছু স্বাভাবিক রাখার এমন চিত্র সামনে রেখে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীবহনের সিদ্ধান্ত কখনো বাস্তবায়ন করা যাবে না।

সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপরিবহনের যাত্রী, চালক-সহকারীর সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাধ্য করা, যাত্রী উঠা-নামাকালে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, একজন যাত্রী নামার পর তার আসনে জীবাণুনাশক ব্যবহার এবং যানবাহন চালুর আগে জীবাণুনাশক ব্যবহার করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

এছাড়াও অসুস্থ, করোনাক্রান্ত সংক্রমণ সন্দেহে চিকিৎসা অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাতায়াতে গণপরিবহন ব্যবহার এড়িয়ে ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহারের জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

এর আগে ২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সরকার।

সে সময় অর্ধেক যাত্রী নিয়েই গণপরিবহন চলাচল করেছিল।

তখন পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

গতকাল সোমবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১১টি বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর