নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১:৫১ : অপরাহ্ণ
অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত উপ-কারামহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
ঘুষ নেওয়া ও দুর্নীতির দুই অভিযোগে পার্থ গোপাল বণিককে পৃথক দুটি ধারায় ৫ বছর ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলেছেন বিচারক।
তবে মুদ্রাপাচারের আরেক অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন সাবেক এই কারা কর্মকর্তা।
দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে পার্থ বণিককে সব মিলিয়ে সাজা খটতে হবে ৫ বছর। এর মধ্যে থেকে হাজতবাসকালীন সময় বাদ যাবে।
২০১৯ সালের ২৭ জুলাই ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তখন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন করেন এবং সেই টাকা নিজের বাসার ক্যাবিনেটে লুকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গত ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
পরদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পার্থ গোপাল বণিককে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি পার্থ গোপাল বণিক গত বছরের ২৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে অনুসন্ধান টিমের কাছে বক্তব্য দেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পার্থ গোপাল বণিক জানান, তার বাসায় ৩০ লাখ টাকা নগদ আছে। এ টাকার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।
এ মামলায় হাইকোর্টে একাধিকবার আবেদন করেও তিনি জামিন পাননি। পরে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেলেও পরবর্তীকালে তা বাতিল করেন হাইকোর্ট।
তিনি এখন কারাগারে আটক রয়েছেন।
এ মামলায় গত বছরের ৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত।