শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

বাণিজ্য মেলায় ছড়িয়ে দিতে কোটি টাকার জাল নোট তৈরি, র‌্যাবের হাতে ধরা



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৪ জানুয়ারি, ২০২২ ৫:২৯ : অপরাহ্ণ

রাজধানীর পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলায় কোটি টাকার বেশি জাল নোট ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুতি চলছিল ঢাকার মিরপুর পল্লবীর একটি বাড়িতে।

ঘরে বসে কম্পিউটারে প্রিন্ট করে এসব টাকা বানাচ্ছিলেন ছগির হোসেন ও তার দলের সদস্যরা।

কিন্তু তাদের এ পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় র‌্যাব।

সোমবার রাতে রাজধানীর পল্লবীতে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা ছগির হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সমমানের জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া পাঁচটি মোবাইল ফোন, দুইটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, তিনটি প্রিন্টারসহ জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ছগির হোসেন, মোছা. সেলিনা আক্তার পাখি ও রুহুল আমিন।

আরও পড়ুন: পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যাবেন যেভাবে

বাণিজ্য মেলা ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শীতকালীন বিভিন্ন উৎসব ও মেলা টার্গেট করে জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলো তারা।

গত দশ বছর ধরে এমন জাল টাকা তৈরি করে সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছে তারা।

কয়েক হাত ঘুরে ভোক্তা পর্যায়ে এসব জাল নোট ছড়িয়ে দিতে দেশজুড়ে ছিল ডিলার।

পুরো এক লাখ টাকার জাল নোট তৈরিতে খরচ হতো চার হাজার টাকা।

এরমধ্যে এক হাজার টাকার এক লাখের বান্ডিল ১৫ হাজার টাকা এবং পাঁচশ টাকার একলাখের বান্ডিল ১০ হাজার টাকা বিক্রি করা হতো।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: বিএসআরএম গ্রুপে চাকরির সুযোগ

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা ও বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় এই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্ন লোকদের কাছে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে আসছিল। এ চক্রের সঙ্গে ১৫-২০ জন সদস্য জড়িত রয়েছে।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, ১৯৮৭ সালে বরগুনা থেকে ঢাকায় এসে প্রথমে হোটেল বয় পরে ভ্যানে ফেরি করে গার্মেন্টস পণ্য বিক্রয়ের কাজ করেছে মো. ছগির হোসেন (৪৭)। ইদ্রিস নামক এক জাল টাকা কারবারির সঙ্গে সখ্যতার পর জাল টাকা তৈরির কারবারে হাতেখড়ি ছগিরের। ২০১৭ সালে জাল নোটসহ ইদ্রিস ও ছগির গ্রেপ্তারও হয়। এক বছর জেল খেটে পুনরায় সে জাল টাকা তৈরির কারবারে জড়ায়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ছগির নিজেই পুরান ঢাকা হতে জাল নোট তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ টিস্যু পেপার, প্রিন্টার, ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের কালি কেনেন। তার ভাড়া বাসায় গোপনে বিশেষ কৌশলে এ-৪ সাইজের ০২ টি টিস্যু পেপার একসাথে আঠা দিয়ে লাগিয়ে রঙ্গিন প্রিন্টারে ডিজাইনকৃত টাকা তৈরি করা হতো। তিনি নিজেই প্রিন্টিং ও কাটিং করতেন। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রিন্টিংয়ের কাজে অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করা হতো না। জাল নোট তৈরির পর অন্যান্য সহযোগীদেরকে মোবাইলে কল করে তার কাছ থেকে জাল নোট নিয়ে যেতে বলতেন।

আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম আরও ৫০ টাকা কমলো

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর