নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ২:৫৫ : অপরাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদনে মতামত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে পাঠানো হবে বলে জানান আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তার ভাইয়ের আবেদনে আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
তবে কী মতামত দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যেহেতু ফাইল যাবে, এজন্য এটা এভাবে বলতে পারি না। এটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে, তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আরথারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: দুবাই থেকে জেনারেল আজিজ কী বলতে চেয়েছেন?
অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি।
এর ৬ দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির পর ১৪ নভেম্বর রাতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
এখন তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা।
তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া।
পরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন।
সে সময় এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন।
পরে করোনার টিকা নিতে তিনি দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
এ পর্যন্ত ৩ দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়।
তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।