ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ৯ জনকে শনাক্ত করেছে পরিবার। তাদের লাশ শনাক্ত করে নিয়ে গেছেন স্বজনরা। বাকি ২৮ মরদেহগুলো গণকবর দেওয়া হয়েছে।
২৮ মরদেহগুলো শনাক্ত করার মতো অবস্থায় না থাকায় কবর দেওয়ার আগে ডিএনএ নমুনা রাখা হয়।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউজ ঈদগা ময়দানে হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে ২৮ জনের সম্মিলিত জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে বরগুনার পোটকাখালী গ্রামে খাকদোন নদীর তীরবর্তী গণকবরে বেওয়ারিশ হিসেবে এসব মরদেহ দাফন করা হয়।
গতকাল রাত ১১টার দিকে এসব মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। বাকি ২৮ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, এর নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। তবে উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বাবান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। দুই-একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন, তাহলে তাকে পরবর্তীতে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চে রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগে।
ওই সময় অনেকে গভীর ঘুমে ছিলেন। অন্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের ঘুম ভাঙে।
কী ঘটেছে তা বুঝে ওঠার এদের কেউ দগ্ধ হন এবং মারা যান। অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। আবার কেউ ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় প্রাণে বাঁচেন।
উল্লেখ্য, লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দগ্ধ আছেন শতাধিক। নিখোঁজ কতজন এখনও জানেন না কেউ।
আরও পড়ুন: জ্বলন্ত লঞ্চ থেকে লাফিয়ে বাঁচলেন ইউএনও, পা ভেঙেছে স্ত্রীর