প্রতিনিধি, বরিশাল প্রকাশের সময় :২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৪৮ : পূর্বাহ্ণ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঝনদীতে লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
ঢাকা থেকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান নামের এই যাত্রীবাহী লঞ্চটি।
লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমের কাছে রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (বরিশাল) কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক জানান, ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যাত্রীদের উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। দগ্ধ যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্বলন্ত লঞ্চ থেকে লাফিয়ে বাঁচলেন ইউএনও, পা ভেঙেছে স্ত্রীর
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধ ৬৬ জনের মধ্যে ৪৫ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি নদীর তীরের দিয়াকুল গ্রাম এলাকায় ভেড়ানো হয়।
লঞ্চটির কয়েকজন যাত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ যাত্রীরা আগুন দেখে চিৎকার শুরু করে। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় কিছু যাত্রীরা লাফিয়ে নদীতে পড়ে সাঁতরে পাড়ে উঠে। স্থানীয় ট্রলার চালকরা এগিয়ে গিয়ে লঞ্চ ও নদী থেকে বেশ কিছু যাত্রীদের উদ্ধার করে।
চাঁদপুর থেকে বরগুনাগামী লঞ্চের যাত্রী মো.মোহসীন বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে হঠাৎ নিচ থেকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখি। এরপর আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আমি তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই।’
লঞ্চের যাত্রী সোলাইমান আকন বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দে লঞ্চে আগুন ধরে যায়। লঞ্চের পেছনের অংশ থেকে তৃতীয় তলার সামনে পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমি দোতলায় ঘুমিয়ে ছিলাম। আগুনের তাপে ঘুম ভেঙ্গে দেখি পুরা লঞ্চটিতে আগুন ধরে গেছে। তখন লাফ দিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেই।
আরও পড়ুন:
কক্সবাজারে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ‘সন্দেহ’ ট্যুরিস্ট পুলিশের
সেন্টমার্টিনে সমুদ্রের পানিতে ভয়ংকর ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটেরিয়া, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পর্যটকরা