নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ২:১৫ : অপরাহ্ণ
শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ৫ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের আপিল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এতে তার পাঁচ বছরের সাজা বহাল থাকলো।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের ভার্চুয়াল একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি খারিজ করেন।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।
পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডও দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়। এ মামলায় আরও দুজনকে সাজা দেয়া হয়েছিল। তারা হলেন-ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান বাপ্পী ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেক।
এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এমপি হারুন। ওই বছরের ২৮ অক্টোবার আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের বেঞ্চ হারুনকে ৬ মাসের জামিন দেন।
মামলার অভিযোগ অনুসারে, বিএনপি জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে হারুন অর রশিদ ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন।
গাড়িটি তিনি পরে ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করেছেন।
এই অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী।
এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
হারুনুর রশীদ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন:
বিএনপি এতো দিন পর একটা সুযোগ পেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী