প্রতিনিধি, রাজশাহী প্রকাশের সময় :৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ৩:১৬ : অপরাহ্ণ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২-এর বিচারক শংকর কুমার বিশ্বাস শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে পুলিশ মেয়র আব্বাসকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেন।
পুলিশের আবেদন করা ১০ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদনের শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মেট্রোপলিটন আদালত ২-এর পিপি মোসাব্বিরুল ইসলাম।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে পৃথক একটি জামিন আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেয়র আব্বাসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
পাবলিক প্রসিকিউটর মোসাব্বিরু ইসলাম জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মেয়র আব্বাসের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এ ছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে আর অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বিস্তারিত তদন্তেরও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেল থেকে র্যাব সদস্যরা রাজশাহীর কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করে।
পরে গত ২ ডিসেম্বর র্যাবের পক্ষ থেকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর তাকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সেই সঙ্গে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে মেয়র আব্বাসকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ঘরোয়া একটি আলোচনায় মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কথা বলেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ-সে জন্য রাজশাহী সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না বসানোর নির্দেশ দেন তিনি। যা জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করার ঘোষণা দেন নৌকা প্রতীকে দুবারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী।
সে আলোচনার অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত সোমবার রাত থেকে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিওর কণ্ঠ নিজের বলে স্বীকার করেছেন আব্বাস আলী।
তার এমন বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৪ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন কাউন্সিলর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নগরের তিন থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন:
কফিন থেকে মৃত বন্ধুকে বের করে বাইক ভ্রমণ!
সাপ মারতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেললেন ৮ কোটি টাকার বাড়ি!