প্রতিনিধি, কুমিল্লা প্রকাশের সময় :২ ডিসেম্বর, ২০২১ ৯:০১ : পূর্বাহ্ণ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর চাঁনপুরস্থ গোমতী বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ শাহ আলমের কাছ থেকে ৭.৬৫ মডেলের একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
নিহত শাহ আলম নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের সুজানগর বৌ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই পরিমল দাস বলেন, বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পরে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পিস্তল হাতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে। উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাউন্সিলর হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী শাহ আলমের মৃত্যুর খবরে এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে। নিহতের লাশ এলাকায় না আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এর আগে গত সোমবার রাতে একই মামলার ৩ নম্বর আসামি সাব্বির রহমান (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি সাজন (৩২) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী। তারা প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় ৯টি গুলি লাগে। এ সময় হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দুটি গুলি লাগে।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খুনের ঘটনায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সম্ভাব্য ৬ আসামিকে শনাক্ত করে পুলিশ।
মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন-মো. মাসুম, মো. সুমন, আশিকুর রহমান রকি, আলম মিয়া ও জিসান মিয়া।
এজাহারের বাইরের মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু নামের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে বোমা পাওয়া যায়নি