নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:০৩ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় মারা যাওয়ার জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ ২৫০-৩০০ জন অজ্ঞাত ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’র নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে।
আজ বুধবার হাতিরঝিল থানায় এসআই এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ২৫০-৩০০ জন ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন দেয়।
এ সময় পুলিশ সেখান থেকে ৫০০ মি.গ্রা. এর পাঁচটি বোতলে মোট দুই লিটার অকটেন উদ্ধার করে। এসব অকটেন চলমান পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।
এর আগে সোমবার রাতে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীর রামপুরা থানায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়- সোমবার রাতে অজ্ঞাত একটি অনাবিল বাস পথচারি এক ব্যক্তিকে চাপা দেয়। এতে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার না করে বেআইনীভাবে সেখানে অবস্থানরত সাতটি বাসে আগুন দিয়েছে। এতে বাসগুলোর প্রায় ৪৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়- সেদিন একটি রাইদা পরিবহন, দুইটি অনাবিল, একটি শ্যামলী এনআর ট্রাভেল, একটি মিয়ামি পরিবহন (এসি কোচ) একটি বিমান স্টাফ বাস ও মহানগর এক্সপ্রেস নামে একটি বাসসহ মোট সাতটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যেগুলো থানা থেকে খবর দেওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রায় ৪০০-৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তি এসব ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে।
এ ছাড়া নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে নিরাপদ সড়ক আইনে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় অনাবিল পরিবহনের বাসচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় মারা যান।
দুর্জয় রাজধানীর একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে কটূক্তি: কাটাখালীর মেয়র আব্বাস র্যাবের হাতে আটক