নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২:১৫ : অপরাহ্ণ
সড়ক দুর্ঘটনা হলে কথায় কথায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুর করা শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। ক্লাসে ফিরে যাও।’
ভবিষ্যতে যারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
সরকার প্রধান প্রশ্ন রাখেন, ‘এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে প্রশ্ন করছি-এই যে বাসে আগুন দেওয়া শুরু হলো, ওই গাড়িতে কি যাত্রী নেই, শিশু নেই; ওখানে কি ছাত্রছাত্রী নেই, ওই আগুনে যারা পুড়বে, আহত হবে বা মারাও যেতেও পারে, তার দায়িত্বটা কে নেবে? একটা গাড়িতে অ্যাক্সিডেন্ট হলো, একটা মানুষ মারা গেল বলে আরও ১৫টা গাড়ি ভাঙা এবং সেখানে আগুন দেওয়া, সে ভাঙার ফলে ও আগুন দেওয়ার ফলে গাড়িতে যাত্রী-ড্রাইভার তারা যারা আহত হয়, অথবা কেউ নিহত হয় সে দায়িত্বটা কারা নেবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব স্বাভাবিকভাবে সেই দায়িত্ব গাড়ি যারা ভাঙচুর করছে, তাদের ওপর বর্তায়। তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আহত বা নিহত হয়, সে দায়দায়িত্বটা যারা গাড়ি ভাঙচুর করছে তাদের। সে কারণে আমি বলবো-আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ করে দৌড় দেবে, তার পর অ্যাক্সিডেন্ট হবে, আর অ্যাক্সিডেন্ট হলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া, গাড়ি পোড়ানো-এটি কী ধরনের কথা? একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে একটা মানুষ মারা গেছে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, তার সেবা না করে লাঠিসোটা নিয়ে নেমে পড়ল বাকি গাড়ি ভাঙতে এবং আগুন দিতে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তাঘাটে চলার সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ট্রাফিক রুলস মেনে চলতে হবে। রাস্তায় যে কোনো জায়গা থেকে, যেখান-সেখান থেকে রাস্তা পার হতে গেলে অ্যাক্সিডেন্ট হবেই। একটা চলমান গাড়ি চট করে ব্রেক করতে পারে না। ব্রেক কষতে সময় লাগে। সেখানে প্রত্যেকটা জায়গায় রাস্তা পারাপারের জায়গা নির্দিষ্ট করা আছে। সেখান থেকে রাস্তা পার হওয়া সমীচীন।’
চালকদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, ‘চালকদের বলি, সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে। ট্রেনিং নিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। আমরাও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সরকারি পরিবহন প্রশিক্ষিত চালকদের দিয়ে পরিচালনা করা হয়। বেসরকারি বাসের গাড়ি চালকদেরও ট্রেনিং দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৯ দফা দাবিতে রামপুরায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ