বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা খেলা

শেষ বলে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বাংলাদেশের



নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২২ নভেম্বর, ২০২১ ৫:৩২ : অপরাহ্ণ

মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখতে হলো বাংলাদেশকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আচরন যেন অচেনা হয়ে গেলো। যে মাঠে বাংলাদেশ দল অপ্রতিরোধ্য, সেই মিরপুরেই কি না হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হলো লাল-সবুজের দলকে।

বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর মিরপুরে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিততে জিততে হারে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে পাত্তা পায়নি টি-২০ ফরম্যাটে শক্তিশালী হয়ে ওঠা পাকিস্তানের বিপক্ষে।

তবে শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করে টাইগাররা। শেষ বলে হারে মাহমুদুল্লাহর দল।

আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।

জবাবে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

১২৫ রান তাড়া করতে শেষ দিকে সমীকরণ কিছুটা কঠিন হলেও সমীকরণ মিলিয়েছে পাকিস্তান। খুব সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরু করে তারা।

এই ম্যাচেও অবশ্য থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক বাবর আজম। দলীয় ৩২ রানে তাকে হারায় পাকিস্তান।

অধিনায়কের বিদায়েও জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলীর ব্যাটে চড়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। বোলার ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

শেষ ওভারের প্রথম বলে ডট দেন তিনি। পরের দুই বলে আউট করেন সরফরাজ আহমেদ ও হায়দার আলীকে।

তবে চতুর্থ বলে ছক্কা খেয়ে যান। পরের বলেই তুলে নেন আরেকটি উইকেট। ফলে শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান।

কিন্তু শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভাঙেন নেওয়াজ।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ।

আজ ওপেনিংয়ে নাঈমের সঙ্গে সুযোগ পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এতেও সাফল্য মেলেনি।

অভিষিক্ত শাহনেওয়াজ দাহানির ফুল লেন্থের গতিময় বলে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন নাজমুল শান্ত (৫ রান)।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। নাঈম ও শামীম হোসেন মিলে ওই জুটিতে তোলেন ৩০ রান।

কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষেই বোলিংয়ে এসে সেই জুটি ভেঙে দেন উসমান কাদির। বোলিংয়ে এসেই শামীমকে আউট করেন এই লেগ স্পিনার।

সপ্তম ওভারে কাদিরের বলে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন শামীম। কিন্তু টাইমিং ঠিক ছিল না। বল উপরে উঠে যায়, সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান ইফতেখার আহমেদ।

২৩ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২২ রান করেন শামীম। দলীয় ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শামীম ফিরলে লড়াই জমান কিছুটা আফিফ হোসেন। নাঈমের সঙ্গে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। এটিই আজকের সর্বোচ্চ জুটি।

১৫তম ওভারে ওই জুটিও ভাঙেন কাদির। ২০ রান করা আফিফকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান তিনি।

এরপর শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে ১২৪ রানের পুঁজি পেতে সাহায্য করেন ওপেনার নাঈম।

ওপেনিংয়ে নেমে প্রায় শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেও তাঁর ব্যাটিং ছিল অস্বস্তির। টি-টোয়েন্টির খেলায় তিনি ছিলেন টেস্ট মেজাজে।

৫০ বলে করেছেন ৪৭ রান। যার মধ্যে ছিল দুটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা। তার ৫০ বলের ইনিংসে ২২টিই ছিল ডট বল।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে (১৩) ফেরান হারিস রউফ। শেষ বলে রান আউট হন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৩)। মাহেদি হাসান অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৩৫ রান দিয়ে দুটি নেন উসমান কাদির। ১৫ রান খরচায় সমান দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। সমান একটি করে নেনে দাহানি ও হারিস রউফ।

এই প্রথম পাকিস্তানের কাছে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। আর সবমিলিয়ে দ্বিতীয়বার।

এর আগে শেষ ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল লাল-সবুজের দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৭ (নাঈম ৪৭, শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদী ৫, আমিনুল ৩; দাহানি ৩-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-১৫-২, রউফ ৪-০-০০-১, কাদির ৪-০-৩৫-২)।

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৭/৫ (রিজওয়ান ৪০, বাবর ১৯, হায়দার ৪৫, সরফরাজ ৬, ইফতেখার ৬, নেওয়াজ ৪, খুশদিল ০, (নাসুম ৪-০-২০-০, আমিনুল ৪-০-২৬-১, তাসকিন, শহিদুল, মেহেদী ৪-০-১৯-০)।

ফল: ৫ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।

সিরিজ: ৩-০ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান।

আরও পড়ুন:

প্রেমের টানে জামালপুরে মেক্সিকান তরুণী, ইসলাম গ্রহণ করে বিয়ে

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্যাবল টিভির ‘সেট টপ বক্স’ লাগানোর সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর