শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

সন্ত্রাসীদের গুলিতে কুমিল্লা সিটির প্যানেল মেয়রসহ নিহত ২



প্রতিনিধি, কুমিল্লা প্রকাশের সময় :২২ নভেম্বর, ২০২১ ৯:৩৬ : অপরাহ্ণ

কুমিল্লায় নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সৈয়দ মো. সোহেল (৫২) নিহত হয়েছেন। একই সময় হরিপদ সাহা (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাও গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নগরীর পাথুরীয়াপাড়া পানুয়া খানকা শরীফ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সৈয়দ মো. সোহেল পাথুরীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে। তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

আর হরিপদ সাহা নগরীর সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল চৌধুরী (৩৮), মাজেদুল হক বাদল (২৮), আউয়াল হোসেন রিজু (২৩), জুয়েল (৪০) ও রাসেল (৩২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন।

এ সময় ৪টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন কালো মুখোশধারী সন্ত্রাসী কার্যালয়ে ঢুকে কাউন্সিলর সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় ৯টি গুলি লাগে।

হরিপদ সাহা পেটে এবং বুকে দুটি গুলিবিদ্ধ হয়।

কাউন্সিলরের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেল ও সিএনজিযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

কাউন্সিলরকে গুলি করার ঘটনা স্থানীয় মসজিদের মাইকে জানানোর পর শত শত মানুষ ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসে।

স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরসহ আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরে হাসপাতালে কাউন্সিলর সোহেল ও হরিদ সাহার মৃত্যু হয়।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন জানান, কাউন্সিলর সোহেলের শরীরে ৯টি গুলি লেগেছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারিনি।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগ্নে মোহাম্মদ হানিফ জানান, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিল। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। দৌড়ে গিয়ে দেখি, মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।

এলাকায় বালু ব্যবসা, ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে কাউন্সিলরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ বলেন, কী কারণে এ ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতরা যেই হোক দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন:

শেষ বলে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বাংলাদেশের

জেনে নিন নবজাতকের ৫ বিপদচিহ্ন

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর