নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৪ নভেম্বর, ২০২১ ১০:১৯ : পূর্বাহ্ণ
৭২ ঘণ্টার পর ধর্ষণ মামলা নেয়া যাবে না-এমন পর্যবেক্ষণ দেয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আজ রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মোছা. কামরুন্নাহার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি গত ১১ নভেম্বর চার বছর আগে রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আলোচিত এ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে ঘটনার ৩৮ দিন পর ধর্ষণের মামলা করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক কামরুন্নাহার।
রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর মেডিকেল পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে পুলিশকে ‘পরামর্শ’ দেন তিনি।
বিচারকের এমন নির্দেশনা বা পর্যবেক্ষণ নিয়ে আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানান।
বিচারপতির এই মতামত অসাংবিধানিক বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল শনিবার সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেওয়ার জন্য বিচারকের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।
আরও পড়ুন: রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলা: খালাস পেলো সব আসামি