সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৯ নভেম্বর, ২০২১ ১:২০ : অপরাহ্ণ

ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিং ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার বাকি সাত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে এ মামলার সাত আসামির উপস্থিতিতে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের ওপর শুনানি শেষ হয়।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপড়েনের জেরে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর বিদেশে বসে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন এস কে সিনহা।

বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ফার্মার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে দুই ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জনের নামে ভুয়া নথি ব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ বিচারপতি এস কে সিনহার হিসাবে জমা দেওয়া হয়।

এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এস কে সিনহা ও অপর ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি, ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এ কে এম শামীম, সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফভিপি) স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) লুৎফুল হক, গুলশান শাখার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফভিপি) সফিউদ্দিন আসকারী, এস কে সিনহার পূর্বপরিচিত রণজিৎ চন্দ্র সাহা, রণজিতের স্ত্রী সান্ত্রী রায়, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

এস কে সিনহা, সফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও সান্ত্রী রায় পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার শুনানি হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় দুদক।

গত বছরের ১৩ আগস্ট ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ আসে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর