নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ নভেম্বর, ২০২১ ৯:০০ : অপরাহ্ণ
বিএনপির বিষদাঁত উপড়ে ফেলার হুংকার দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, বিএনপি কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এমন কিছু বিপথগামী মানুষকে নিয়েই সামরিক ছাউনিতে এই দলটি জন্ম নিয়েছিল। তাই আমাদের এই অপশক্তি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যারা সুযোগ পেলে ফণা তুলবে। তাই ফণা তোলার আগেই এদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।
আজ রোববার বিকেলে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ৭ নভেম্বর অপশক্তির সরাসরি উত্থান হয়েছিল জিয়াউর রহমানের নির্দেশে। সিপাহি বিপ্লবের নামে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা ও রক্তারক্তির বন্যা সৃষ্টি করেছিলেন। সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ হচ্ছে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। এমনকি ঘাতকদের বিদেশে দূতাবাসের পথ পদবি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এমন নির্মম ট্র্যাজেডির কারণে জিয়াউর রহমান ইতিহাসের খলনায়ক এবং সবচেয়ে নিন্দিত ও জঘন্য চরিত্র।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি বিদ্রোহের নামে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যাযজ্ঞ শুরু করেন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। এ মানুষটি বাংলাদেশের অনেক অঘটনের খলনায়ক। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলো নির্বাসন দিয়ে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ শাসন করা হয়। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছেন, মন্ত্রী বানিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের আশ্রয় দিয়েছেন। তাই এরা কখনো জনগণের বন্ধু হতে পারে না। জনগণের অধিকার ও স্বার্থ বিসর্জন দেওয়াটাই তাদের অপকর্মের আমলানামা।
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, জোবাইরা নার্গিস খান, হাজি মো: হোসেন, জালাল উদ্দিন ইকবাল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, মো: জাবেদ, মোরশেদ আকতার, থানা আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমেদ, ছিদ্দিক আলম, রেজাউল করিম কায়সার প্রমুখ।