নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩১ অক্টোবর, ২০২১ ২:১৫ : অপরাহ্ণ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় বিভাগটির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছয় কর্মচারীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ রোববার রোববার দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয় থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মোট ছয় জনকে নথি গায়েবের ঘটনায় আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের সিআইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ নথি গায়েবের ঘটনায় তারা জড়িত কিনা, তা জানার চেষ্টা করছি। তারা সম্পৃক্ত না থাকলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন।
নথি গায়েবের ঘটনায় আজ সচিবালয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা।
তারা সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিচতলায় (২৯ নম্বর কক্ষ) অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসাইন ও যুগ্ম সচিব কাজী আনোয়ার হোসেনের কক্ষে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এ সময় সবার আঙ্গুলের ছাপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করা হয়। অন্তত ১৩ জনের আঙ্গুলের ছাপ নেয় সিআইডির ক্রাইম সিন।
শাহবাগ থানায় করা জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই।
যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।
জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, রিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথি।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাদিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।