নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩০ অক্টোবর, ২০২১ ৯:৪৫ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে সাইফুর রহমান নামে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। এ জামায়াত নেতা বক্তব্য দেওয়ার সময় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন খন্দকার মোশাররফ। ।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ১৩ জন। ওই দিনের ঘটনাকে ‘কালো দিন’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
দিনটি উপলক্ষে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসন: প্রেক্ষিত ২৮ অক্টোবর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান তার বক্তব্যে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনার প্রসঙ্গে প্রশ্ন রাখেন, ‘সেদিন জোটের দু’টি বড় দল কেন দুই জায়গায় সমাবেশ করলো? যখন সহিংসতা শুরু হয়, তখন কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভূমিকা নেয়নি? ওই সময় তো জোট নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় ছিলো। দায়িত্বশীল মন্ত্রীও তাদের ছিলো।’
জামায়াত নেতার এমন বক্তব্য শুনে মঞ্চে থাকা বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। রাগান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি থাকতে কেন এসব বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।’
জবাবে জামায়াত নেতা সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে একজন আইনজীবী হিসেবে বক্তব্য রেখেছি। আমার মূল্যয়ন আমি করেছি। স্যার আপনি আপনার বক্তব্য রাখবেন।’
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন জামায়াত নেতাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তোমার কথায় কাউন্টার করবো কেন?’
পাল্টা সাইফুর রহমান বলেন, ‘স্যার, আপনাকে কাউন্টার করতে বলিনি।’ এসময় পাশ থেকে একজনকে স্যরি বলতে শোনা যায়।
তখন খন্দকার মোশাররফ হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এই জামায়াত বাংলাদেশকে আজকের এই জায়গায় এনেছে। এই জামায়াতের ফাজলামোর কারণে।’
এ সময় মঞ্চে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পাশে থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুও এই জামায়াত নেতার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।