নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩০ অক্টোবর, ২০২১ ৬:৪৫ : অপরাহ্ণ
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে।
অন্য দুই সদস্য হলেন-মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।
পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ) আলী নূর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার বাদী হয়ে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া যাওয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার একটি জিডি করা হয়েছে। আজ সচিবালয় বন্ধ। আগামীকাল থেকে তদন্ত শুরু হবে।
একাধিক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। জিডির পর ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও ফাইলগুলো কে সরালো নিশ্চিত হতে পারেনি মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। তিনি সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২–এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল।
জিডিতে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো রাখা হয় ফাইল কেবিনেটে। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো সেখানে নেই। খোয়া যাওয়া নথিগুলোর বেশিরভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা–সম্পর্কিত।