রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

ইকবাল নাকি মণ্ডপে কুরআন রেখেছে, এটা কোনোমতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়: ফখরুল


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ অক্টোবর, ২০২১ ৯:১২ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

এবার দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ঘটনার পেছনে সরকারি দলের ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লাতে পাগল ইকবাল বলে একজনকে সাজিয়েছে। সে নাকি পবিত্র কুরআন মাজীদ নিয়ে মণ্ডপে রেখেছে এবং সেখান থেকে মসজিদে গেছে। যেগুলো কোনোমতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এটা অত্যন্ত পরিকল্পিত ঘটনা। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, সরকারের এজেন্সিগুলো এ পরিকল্পনা করেছে।’

কুমিল্লার ঘটনায় ইকবালের ভিডিও চিত্র প্রকাশের পরও সেটি কেন বিশ্বাসযোগ্য নয়-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী কারণে বিশ্বাস করবো? কুমিল্লার ঘটনার ব্যাপারে সেখানে যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তারা আগেই বলেছেন এবং ভিডিওতে বলেছেন যে এটা আসলে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের নিজস্ব দ্বন্দ্ব। সেখানে দুটো গ্রুপ আছে, সে গ্রুপের দ্বন্দ্বের ফলে এ ঘটনাগুলো ঘটেছে।’

আজ বুধবার বুধবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার আমরা নির্বাচন নয়, সরকারের পতন নিয়ে চিন্তা করছি। এই সরকারকে চলে যেতে হবে। তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এর মধ্য দিয়েই আমরা একটি নতুন সরকার গঠন করবো।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মন্দির ভাঙ্গার বিষয়ে মোট মামলা হয়েছে ৬০টা। আসামি সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৬ জন। আপনারা যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন তারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন, এই ঘটনার পেছনে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ আছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে থাকতে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ও সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে সরকার। আমাদের দলের উচ্চ পর্যায়ের টিম সরেজমিন ঘটনাস্থল দেখে এসেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বরকত উল্লাহ বুলুসহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে এরা কেউ পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার চাই এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি জানাই। আমরা সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি, আমাদের গঠনতন্ত্রের মধ্যে সেটা আছে। খালেদা জিয়াও বার বার বলেছেন, ধর্ম যার যার, এই রাষ্ট্রটা সবার। তিনি কখনোই সংখ্যালঘু শব্দটা ব্যবহার করেন না।’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা খুব পরিষ্কার, সরকার পরিকল্পিতভাবে মাঠ পরিষ্কার করার কাজ করছে। ২০১৮ সালেও আপনারা দেখেছেন, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে তারা (সরকার) মিথ্যা, গায়েবি মামলা শুরু করেছিল। প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে, মাঠ একদম খালি করা হয়। এবার তার আগে থেকেই মামলাগুলো দিচ্ছে। সরকার অতিদ্রুত মামলাগুলো শেষ করতে চায়। বিশেষ করে আমাদের যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা তৈরি করেছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করবে, যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি।’

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল ও পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির অভাবে এসব ঘটনা ঘটছে।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর