শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে, শাস্তির সুপারিশ তদন্ত কমিটির



প্রতিনিধি, রাজশাহী প্রকাশের সময় :২৫ অক্টোবর, ২০২১ ৯:২০ : পূর্বাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনার তদন্তের প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। তদন্তে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল আজ সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তবে, সেদিন অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের সশরীরে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তাকে ছাড়াই প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

এদিকে শিক্ষক ফারহানাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের ভবনগুলোতে তালা দিয়ে বাইরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ৮ ঘণ্টা ধরে একটি ভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। দুপুরের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে প্রবেশপথে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন নিজ হাতে ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে ২১ অক্টোবর দুপুর একটার মধ্যে সশরীরে কমিটির মুখোমুখি হতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৃতীয় দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগেও আরও দু’দফা নির্দেশ পেয়েও কমিটির মুখোমুখি হননি শিক্ষক ফারহানা। ঘটনার বিপরীতে আত্মপক্ষের সমর্থনে বক্তব্য দিতে সশরীরে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি ২১ অক্টোবর আসেননি। অবশেষে তার অনুপস্থিতেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার প্রেক্ষাপট, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য এবং সিসিটিভি ফুটেজে শিক্ষক ফারহানা শুরু থেকেই অভিযুক্ত হন। শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় তিনিই যে চূড়ান্ত ও একমাত্র অভিযুক্ত, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি চাকরির বিধিমালা (শৃঙ্খলা ও আপিল) অনুযায়ী তাকে তিন বার সময় দেওয়া হলেও তিনি আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির বিধিমালা (শৃঙ্খলা-আপিল) অনুযায়ী প্রতিবেদনে তার শাস্তির জন্য সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।’

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ শিক্ষার্থীর চুলকাটার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হন শিক্ষক ফারহানা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কমিটি গঠন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর