রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ অক্টোবর, ২০২১ ৯:৪৫ : অপরাহ্ণ
আফ্রিকার দেশ সুদানে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে আটকের পর অন্তর্বর্তী সরকার ভেঙে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদুক অভ্যুত্থানের সমর্থনে বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে বন্দি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের প্রধান। সামরিক ও বেসামরিক নেতাদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির যৌথ কাউন্সিল এটি।
বিবিসি জানায়, বুরহান দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনৈতিক কোন্দলকে দায়ী করেছেন। টিভিতে এক ভাষণে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোন্দল, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সহিংসতায় উসকানির কারণে তাকে বাধ্য হয়ে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-শিল্পমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-শেখ, তথ্যমন্ত্রী হামজা বালৌল ও প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা ফায়সাল মোহাম্মেদ সালেহ।
সুদানের ক্ষমতাসীন সার্বভৌম পরিষদের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল-ফিকে সুলিমান ও দেশটির রাজধানী খার্তুমের গভর্নর আয়মান খালিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা রাজধানী খার্তুমসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষোভে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বিবিসির স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, বিক্ষোভকারীদের বেসামরিক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা গেছে। এ সময় রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে।
রাজধানীতে সেনাবাহিনী ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে খার্তুম বিমানবন্দরের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। দেশটিতে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত মাসে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর আগে ২০১৯ সালে তীব্র বিক্ষোভের মধ্যে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরের পতন হয়।