নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৪০ : পূর্বাহ্ণ
ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল। দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করতে দেশব্যাপী নানা আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল ত্বরিকতভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস (শোভাযাত্রা)।
পাকিস্তান দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরীফের পীর আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) এর নেতৃত্বে এই জুলুসের মাধ্যমে নগরীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে নগরীর মুরাদপুর আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বের হয় এই জশনে জুলুস। এতে লাখো মানুষ অংশ নেন।
বিশেষভাবে তৈরি গাড়িতে বসে জুলুসে নেতৃত্ব দেন পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিল্পগ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন।
সবুজ চাঁদ তারকা খচিত পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, কালেমা লেখা পতাকা হাতে নিয়ে জুলুসের অগ্রভাগে ছিলেন হাজারো তরুণ-যুবক।
জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের হাতে শোভা পায় কালেমা, ঈদে মিলাদুন্নবীর শ্লোগান লেখা প্লেকার্ড, ফেস্টুন ও সবুজ চাঁদ তারকা খচিত পতাকা। অনেক তরুণ জোটবদ্ধ হয়ে একই ধরণের পোশাক পড়ে।
তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রশাসনের অনুরোধে জুলুসের পূর্বঘোষিত রোডম্যাপ সীমিত করা হয়। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট ঘুরে পুনরায় মুরাদপুর বিবিরহাট প্রদক্ষিণ করে জামেয়া মাদ্রাসা ময়দানে ফিরে আসে জুলুসটি।
তবে জুলুসের বহর পূর্বঘোষিত নগরীর সড়কগুলোতে প্রদক্ষিণ না করলেও সেখানে সকাল থেকে সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। সবার মুখে ছিলো হামদ, নাত, দরূদ আর স্লোগান।
খন্ড খন্ড মিছিল, হামদ,নাত, ‘নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবর’, ‘নারায়ে রেসালাত-ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সা.)’ শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় বন্দরনগরী।
দেখা গেছে, অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন গাড়ি থেকে জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের শরবত, জুস, কমলা, চকলেট, গাজর, ক্ষিরা, কলা, বন, পাউরুটি ইত্যাদি বিভিন্ন খাবার সরবরাহ করে।
জুলুস শেষে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে শুরু হয় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিল। এতে সভাপতিত্ব করছেন পীর আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লাখো ভক্তের জশনে জুলুস আজ