নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৫ অক্টোবর, ২০২১ ২:০১ : অপরাহ্ণ
ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহীতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটা থেকে এসব জেলায় দ্রুতগতির থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এসব জেলার মানুষরা মোবাইলে ডাটা (ইন্টারনেট) ব্যবহার করতে পারছেন না।
তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট যথারীতি ব্যবহার করা যাচ্ছে।
রাজধানীর শামসুল আরেফিন নামে এক গ্রামীণফোন গ্রাহক জানান, আজ সকালে দেশের বাহিরে থাকা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইলে ডাটা অন করে দেখি হচ্ছে না। পরে কয়েকবার ফোন রিস্টার্ট দিলেও ডাটা আসেনি।
রাজশাহী থেকে একজন গণমাধ্যমকর্মী ফোনে জানান, সকালে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক উভয় সিমের ডাটা চালু করেও ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছি না। ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে কি না জানতে চান তিনি।
সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়িয়ে দুদিন আগে কুমিল্লাসহ কয়েকটি জেলায় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় বুধবার থেকেই ছয় জেলায় মোবাইল ফোনে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকে সারা দেশেই একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটদের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তারা বলছেন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়েই শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে তারা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছেন।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সেবা বন্ধ রাখতে বলেছে বিটিআরসি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বক্তব্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।
অনিবার্য কারণে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধের কথা জানিয়েছেন গ্রামীণ ফোনের হেড অফ এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন মুহাম্মদ হাসান। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এটা হয়ে থাকতে পারে। হয়তো কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যেটা এড়ানো যায়নি। তবে আমার মনে হয়, সমস্যাটি বেশিক্ষণ থাকবে না। সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় সাড়ে ১১ কোটি আর ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটির কিছু বেশি।