নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৪ অক্টোবর, ২০২১ ৭:৩৬ : অপরাহ্ণ
কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় তদন্ত চলছে। সহিংসতায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কুমিল্লার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছুদিন আগে কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তার খুব ব্যাপকভাবেই তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি এবং অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে তাদের আমরা খুঁজে বের করবই এবং আমরা তা করতে পারবো।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা বের করা যাবে এবং সে যেই হোক কেন, যে ধর্মেরই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্তরা যে ধর্মের হোক না কেন বিচার করা হবে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। মানে তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ সাহস না পায় সেটাই আমরা চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে সাথে সাথেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সার্বক্ষণিকই আমরা যোগাযোগ রাখছি। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং যেখানে যেখানে যারাই এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবে সাথে সাথে তাদের খুঁজে বের করা হবে। এটা আমরা অতীতেও করেছি এবং সেটা আমরা করতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু দুষ্টচক্র দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। যারা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না, তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। রাজনীতি নেই, কোনো আদর্শ নেই আসলে তারাই এ ধরনের কাজ করে। এটা তাদের এক ধরনের দুর্বলতা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে যদি সবাই সচেতন থাকে, তাহলে এগুলো যেমন প্রতিরোধ করা যায়, তেমনি এর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণের মানুষ সবাই একসঙ্গে বসবাস করবে এবং যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। এটা বাংলাদেশে সবসময় ছিল এবং আছে যে প্রতিটি উৎসবের সময় সবাই একসঙ্গে সামিল হয়ে আনন্দ উপভোগ করে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী পূর্নাত্মানন্দ মহারাজ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জীর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার।