নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ অক্টোবর, ২০২১ ১১:২০ : পূর্বাহ্ণ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যৌথবাহিনীর হাতে আটক হন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে রমনা থানায় বাবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে বলা হয়, সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য ২০০৭ সালের ৫ জুলাই বাবরকে নোটিশ দেয় দুদক। পরে বাবর ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দেন। তবে তদন্তকালে তাঁর গুলশানের একটি ব্যাংকে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকার লেনদেনের হিসাব পাওয়া যায়। এই টাকা বাবরের ব্যাংক হিসাবে এসেছিল সিঙ্গাপুর থেকে। এ বিষয়ে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
পরে মামলার একই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বাবরকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অভিযুক্ত করা হয়। সেবছরের ১২ আগষ্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। পরে বিভিন্ন সময়ে মামলাটির সাত সাক্ষীর সকলের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরকে এ বছরের ২১ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার আত্মপক্ষ শুনানিতে বিচারক তার বিরুদ্ধে দেওয়া সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনান। পরে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চান। জবাবে বাবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।